কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
আজ কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ৩৪৯ টি চাউল কলের ফুড গ্রেন লাইসেন্স আবেদনের ভিত্তিতে আটত্রিশ হাজার মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ রাখা হয়েছে হয়েছে।যার বেশির ভাগ সদর উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত। চালের পরিমাণ আঠাশ হাজার ঊনষাট মেট্রিক টন। প্রায় মিল প্রতি চারশো টন। যা ব্যবসায়ী,মিলারদের ভিতর এক নবতর প্রনোদনা দিয়েছে যেন, করোনা আক্রান্ত মন্দা সময়ে। উল্লেখ্য কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বাংলা দেশের দ্বিতীয় চালের গ্রাম খ্যাত খাজানরের চাউল মোকাম। এ অঞ্চলে প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে অটো, বাচাই ও হ্যাকিং মিল রয়েছে চার শতাধিক। কুষ্টিয়া জেলার শতাধিক অটো রাইস মিলের নব্বুই ভাগ এঅঞ্চলে বিদ্যমান।
সদর উপজেলার ফর্দ থেকে জানা গেছে ফুড গ্রেন লাইসেন্সের ভিত্তিতে প্রতি মিলে প্রায় চারশো টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার বরাদ্দকৃত চাউল অস্তিত্ব হীন মিলের নামে হয়েছে বলে সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয়ছে।খাজানগরে অবস্থান এমন প্রায় আটদশটি মিলের প্রকৃত পক্ষে বর্তমান সময়ে কোন অস্তিত্ব নেই। তবুও তাদের নামে হয়েছে যথাযথভাবে বন্টন আদেশ পত্র। ইতি পূর্বে ম্যানুয়াল মিল ছিল এখন অটো করা হয়েছে ,কোনটা বিক্রি হয়ে গেছে আবার কোন মিলের জমি হস্তান্তর হয়েছে, নতুন মালিক নতুন নামে মিল স্থাপন করেছে। পুরোনো অকেজো মিলের নামে বন্টন প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারী যোগসাজশে ইরা বোরো মৌসুমের ধান চাউলের বরাদ্দ বন্টন ব্যাপক দুর্নীতিতে বাধা গ্রস্ত হবে।
খাজানগরস্হ আজমেরী রাইচ মিল, প্রোপাইটর শামশুদ্দিন মোল্লা, মাষ্টার রাইচ মিল প্রোপাইটর ওবাইদুল, নিউ দাদা রাইচ মিল প্রোপাইটর শাহজালাল, নুর রাইচ মিল প্রোপাইটর আমিরুল ইসলাম, আল হেরা রাইচ মিল প্রোপাইটর কামরুজ্জামান, হামজা রাইচ মিল প্রোপাইটর আমির হামজা, শাওন রাইচ মিল প্রোপাইটর শুক চাদ, কনকড রাইচ মিল প্রোপাইটর মুজিবর রহমান। এসকল নামের কোন মিল প্রতিষ্ঠান খুজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রাবেয়া রাইচ মিল প্রোপাইটর রুহুল, মঙ্গল ব্যপারী রাইচ মিল প্রোপাইটর মো জলিল, দুই বোন রাইসমিল প্রোপাইটর শহিদ, ইসহাক রাইস মিল প্রোপাইটর আলিম, হাজী হাসেম রাইচ মিল প্রোপাইটর আতাউররহমান , ছনি রাইস মিল প্রোপাইটর আলাল ব্যপারীর, হযরত রাইস মিল প্রোপাইটর হযরত আলী,সরজমিনে দেখা গেছে উক্ত রাইস মিলের চাতালে চাউলের ব্যবসা আপাততঃ বন্ধ রয়েছে, বিকল্প হিসাবে মাছ গো খাদ্যের উৎপাদন গুড়া ভাঙানো মিল হিসেবে এখন সচল রয়েছে। এসকল মিলের নামে বরাদ্দ বন্টন শুধুমাত্র অসাধু উপায়ে উৎকোচের মাধ্যমে হয়ে থাকে।নির্মান সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনো চালু বা উৎপাদনে যায় নি এমন দুটো অটো রাইস মিলের নামে বরাদ্দ অতশত টন চাউল, তেমনি চাউল বাছাইয়ের পঞ্চাশ মিলের নামে বরাদ্দ শুভঙ্করের আরেক ফাকি, সরকার হাসকিং মিলমালিক দের প্রনোদনা দিতে উচ্চ মূল্য দিয়ে সরকার ধান চাউল আউশ এবং ইরা বোরো দূ মৌসুমে ক্রয় করে থাকে তাহা প্রকৃত অর্থে ব্যর্থতার পর্যবসিত করে।সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তা জহুরুল ইসলামের মুঠোফোন রিসিভ হয়নি প্রতিবেদকের ফোন কল।